টেকনাফে রোহিঙ্গার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আত্মহত্যা
আত্মহত্যা

কক্সবাজারের টেকনাফে মোহাম্মদ রফিক ওরফে সোনা মিয়া (২৪) নামে এক ব্যক্তির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের উত্তর জালিয়াপাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে। তিনি মিয়ানমারের পুরোনো রোহিঙ্গা নাগরিক। তবে দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে শাহপরীর দ্বীপ উত্তর জালিয়াপাড়ার বেড়িবাঁধের ওপর পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে পুলিশ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ঝাউবাগান থেকে রফিকের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেছে। তথ্যটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামশেদ।

রফিকের স্ত্রী দিলদার বেগমের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ শিকার করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন তিনি। প্রায় এক বছর ধরে নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অভাবের যন্ত্রণায় খেয়ে না-খেয়ে দিন যাপন করে আসছিলেন। গত রাতেও ছেলে ছৈয়দুল আমিন (৪) ও মোহাম্মদ আমিন (৬) ভাতের জন্য কান্নাকাটি করে। এ সময় পাশের বাড়ির একজনের কাছ থেকে আধা কেজি চাল ধার করে নিয়ে আসেন। ছেলেদের মুখে খাবার দিতে না পেরে তিনি রাত ১০টার দিকে কাঁকড়া শিকারের কথা বলে বের হন। রাতে আর ঘরে ফেরেনি। আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে গলায় ফাঁস লাগানোর খবর পান। মানুষের ধারণা, অভাবের যন্ত্রণায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। 

পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাতটার দিকে নাফ নদীর তীরে শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া ঝাউবাগানে এক ব্যক্তির গলায় ফাঁস লাগানোর খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি একজন পুরোনো রোহিঙ্গা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন নৌযানে মাছ শিকার করতেন।