উচ্চশিক্ষায় সীমানা ছাড়িয়ে তাঁরা

>

উচ্চশিক্ষা এখন হাতের নাগালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। প্রচেষ্টা আর সংকল্পের জোরে তাঁরা সুযোগ পাচ্ছেন অক্সফোর্ড, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কিংবা টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন। ইউরোপ, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বেশি সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, জার্মানি, কানাডা, চীন ও মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বাইরে বৃত্তি পেয়ে পড়ছেন এমন পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে এই আয়োজন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুজয় চৌধুরী

হাবিবুল হাসান মজুমদার, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
হাবিবুল হাসান মজুমদার, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র


ক্যানসার থেকে জীবন বাঁচাতে...

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটিতে ক্যানসার নিয়ে ডক্টর অব ফিলোসফিতে (পিএইচডি) ভর্তির সুযোগ পান হাবিবুল হাসান মজুমদার। জিনগত পরিবর্তন কীভাবে ব্লাড ক্যানসারকে প্রভাবিত করে, সে বিষয় নিয়ে তিনি এখন গবেষণা করছেন। পাশাপাশি অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কীভাবে কম খরচে ও সহজ উপায়ে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচা যায়, তা–ও এ গবেষণার প্রধান অংশ। বর্তমানে বিদ্যমান ক্যানসারের ওষুধগুলো কেন কাজ করছে না, কীভাবে নতুন ও অভিনব ওষুধ তৈরি করা যায়, তা নিয়েও গবেষণা করছেন এই শিক্ষার্থী।

হাসিবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই তিনি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ফেলোশিপ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফেলোশিপ, ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্ট বাংলাদেশসহ নানা পুরস্কার অর্জন করেন।

উচ্চশিক্ষার নানা বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিভাগের শিক্ষকেরা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। সেই অনুপ্রেরণাই বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (জিআরই), আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আবেদন করি। স্কাইপে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর ভর্তির সুযোগ আসে। সঙ্গে ছিল হেলথ ইনস্যুরেন্স ও গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রে যাঁরা এ বিষয়ে পড়তে চান তাঁদের জন্য হাবিবের পরামর্শ, পরীক্ষায় ভালো ফল করার চেষ্টা করতে হবে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে ল্যাব গবেষণা ও বায়োইনফরমেটিকস গবেষণায় যত পারা যায় যুক্ত থাকতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত থাকলে ভালো।

জান্নাতুন নাঈমা, কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান
জান্নাতুন নাঈমা, কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান


জিনের ভিন্নতার তত্ত্বতালাশ

জান্নাতুন নাঈমা। স্নাতক পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষার্থীদের একজন হওয়ার কারণে তিনি অর্জন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। নাঈমা বর্তমানে পিএইচডি করছেন জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২০১৮ সালে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হন। তবে এর আগে ২০১৭ সালেও জাপান সরকারের বৃত্তি অর্জন করেন।

নাঈমা গবেষণা করছেন কোনো জনগোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদি কিডনি, লিভার অস্বাভাবিকতা ও পরিপাকতন্ত্রের জটিলতার পেছনে জিনগত ভিন্নতা নিয়ে। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশের প্রভাব বিবেচনায় এনে তাঁরা কী পরিমাণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তা নির্ণয়ও গবেষণার অংশ।

জান্নাতুল নাঈমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এসব প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার ফলাফল শুরু থেকেই জোগাড় করে নেওয়া দরকার।

জাপানের ‘মনোবুকাগাসো’ বৃত্তি পেতে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের দিকে আবেদন করতে হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেটে এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির তালিকা পাওয়া যায়। সেই তালিকা থেকে শিক্ষার্থীরা খুঁজে নিতে পারেন পছন্দের বৃত্তি। আর উচ্চশিক্ষা নিতে ছড়িয়ে যেতে পারেন বিশ্বজুড়ে।

নুর হোসাইন, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো  স্কারবো, কানাডা
নুর হোসাইন, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কারবো, কানাডা


জ্বালানির ভিন্ন কিছুর সন্ধান

নুর হোসাইনের স্বপ্ন বরাবরই আকাশছোঁয়া। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদেই অবস্থিত রসায়ন বিভাগের ল্যাবে কাজ করার সময়ই স্বপ্ন দেখতেন বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিদেশি অধ্যাপকদের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতেন, ই–মেইল করতেন। আর এর থেকেই আসে সফলতা।

কানাডা সরকারের ওন্টারিও ট্রিলিয়াম স্কলারশিপ, লেকহেইড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ রিসার্চ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও পোস্ট–ডক্টরাল গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কারবো পোস্ট–ডক্টরাল ফেলোশিপ অর্জন করেছেন এই কৃতী শিক্ষার্থী। এখন তিনি পুরোদস্তুর গবেষক।

কী নিয়ে গবেষণা করছেন—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতিক্ষুদ্র কণা তৈরির মাধ্যমে কার্বন ড্রাই-অক্সাইডকে জ্বালানিতে রূপান্তর করার প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য গবেষণা করছেন তিনি। এ গবেষণায় সফল হলে পুরো বিশ্ব এর সুফল পাবে এমন মত তাঁর।

তাঁর মতে, উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চাইলে অনার্স পর্যায়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। গবেষণায় হাতেখড়ি থাকা দরকার। গবেষণা থাকলে সুযোগ অনেকটা হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

এ ছাড়া স্নাতকোত্তরে থিসিস থাকা খুব জরুরি। শিখতে হবে গবেষণা প্রপোজাল লেখার নিয়মকানুন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে গবেষণা সম্পর্কে নানা খুঁটিনাটি শিখে নিতে পারল বিদেশি বৃত্তি সহজ হয়ে যায়।

আর যদি এসব বিষয় মাথায় রাখা যায়, তবে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন যে কেউ দেখতে পারে।

আফরিন সুলতানা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
আফরিন সুলতানা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়


ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা

আফরিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার উইলিয়ামডান স্কুল অব প্যাথলজিতে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন। ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী। ক্যানসার ও ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণায় যুক্ত তিনি।

অক্সফোর্ডে পড়ার নানা বিষয় নিয়ে আফরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় জায়গা। আর অক্সফোর্ড হলো পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। তাই চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের অক্সফোর্ডে পড়ার স্বপ্ন দেখা উচিত। এ কারণে শিক্ষার্থীদের ইরাসমাস মুন্ডাস কিংবা এ ধরনের বৃত্তির জন্য চেষ্টা করতে হবে।

এই বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়ার আগে অবশ্য জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান আফরিন। ২০১৭ সালে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পান তিনি। পাশাপাশি জার্মানির সবচেয়ে বড় ক্যানসার গবেষণাকেন্দ্রে কাজ করারও সুযোগ হয়েছিল তাঁর। পরে সুইডেনের কারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটে ইন্টার্নশিপ করেন আফরিন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আফরিন বলেন, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এখন কোনো ব্যাপারই না। একটু ভালো ফলাফল থাকলেই আবেদন করা যায়। আর ইন্টারনেটে সব তথ্য পাওয়া যায়।

কারোলিন্সকায় কাটানো সময়গুলো থেকেই ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহ আফরিনের। সেই আগ্রহ থেকেই অক্সফোর্ডে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের গবেষণা করার জন্য অধ্যাপকদের ই-মেইল করেন তিনি। অধ্যাপকেরা সিভি ও মোটিভেশন লেটার দেখে সাক্ষাৎকার নেন। এভাবেই সুযোগ হয়ে যায় বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠ অক্সফোর্ডে।

দিদারুল আলম, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র
দিদারুল আলম, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র


নিরাপত্তার নতুন কিছু

যুক্তরাষ্ট্রে বসে জাতীয় নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মিলিটারি সিকিউরিটির মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন দিদারুল আলম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তেন তিনি। এখন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনায় পিএইচডি করছেন।

দিদারুলের ভাষ্য, বৃত্তি নিয়ে যাঁরা বিদেশে পড়তে চান অনার্সের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষেই বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ ও বিষয় নির্ধারণ করতে হবে।

এরপর বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা–সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজখবর নিতে হবে। স্বীকৃত জার্নালে গবেষণাপত্র থাকলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি দরকার আত্মপ্রচেষ্টা।

যাঁরা বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চান তাঁদের জন্য দিদারের পরামর্শ, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষ থেকেই পছন্দের বিষয় নিয়ে গবেষণাকর্ম শুরু করা ভালো।

 যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি পেতে চাইলে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (জিআরই) পরীক্ষা দিতে হবে। তাই তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে জিআরই ও আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে দেওয়া উচিত। এসব পরীক্ষার ভালো ফলাফল বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারে দিদারুল বলেন, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়। তাই দেশের শিক্ষার্থীদের এসব প্রশিক্ষণ নিতে ইন্টারনেটে ঢু মারা উচিত। কারণ ইন্টারনেটেই রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের যাবতীয় সব তথ্য।

বৃষ্টি দে, জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
বৃষ্টি দে, জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়


সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা নিতে জার্মানিতে

একসময় খুব কম মেয়েই সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য যেত। চট্টগ্রাম থেকে এ সংখ্যা আরও কম ছিল। তবে এখন দিন পাল্টেছে। মেয়েরা জায়গা করে নিচ্ছে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তাঁদেরই একজন বৃষ্টি দে। পড়েছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। আর এখন জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তিনি।

বৃষ্টি বলেন, ভারত সরকারের একটি বৃত্তি নিয়ে ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ের এশিয়ান কলেজ অব জার্নালিজমে পড়তে যান। সেখানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর ডিগ্রির সুযোগ পান তিনি। পরে হাইডেলবার্গে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পান।

বৃষ্টির মতে, সাংবাদিকতার যেকোনো বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চাইলে নিয়মিত লেখালেখির মধ্যে থাকতে হবে। লেখার মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে তা এগিয়ে নেবে শিক্ষার্থীদের।

পাশাপাশি চলমান ঘটনা নিয়ে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। আর সাংবাদিকতা নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার দারুণ সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক খোঁজখবরই পারে কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে।

সাংবাদিকতার ছাত্রী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে বৃষ্টির। ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।