মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে সিআইইউ

মাহফুজুল হক চৌধুরী
মাহফুজুল হক চৌধুরী

সিআইইউর উপাচার্য মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলে তার সুফল সবাই পাবে। এ জন্য গবেষণামূলক কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সিআইইউতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক দুই জায়গাতেই গতি এসেছে। ফলে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে শিক্ষার্থীরাও।’

শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হবে বলে জানান মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শহরের মধ্যেই হবে এই ক্যাম্পাস। যাতে ছেলেমেয়েরা সহজে বাসা থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিআইইউ চট্টগ্রামে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সাধারণত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী শিক্ষক থাকেন না। আমি উপাচার্য হওয়ার পর স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। প্রতিটি স্কুলের ডিন পদে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সবাই অভিজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী সিন্ডিকেট, একাডেমিক কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটিসহ একাধিক পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করেছি। শুধু তা-ই নয়, ক্যাম্পাসে অস্থায়ী শহীদ মিনার, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে নতুনভাবে পাঁচ-ছয়টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা, মিলনায়তন সংস্কার, ছাত্রছাত্রীদের জন্য কমনরুম তৈরি, স্কুল অব ল ও স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের জন্য ক্লাসরুম বৃদ্ধি, ক্যানটিন প্রতিষ্ঠা, ফুলের বাগান, ফুড কর্নার ও শিক্ষকদের জন্য লাউঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। দক্ষ লোকবল নিয়োগ ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। আমাদের হাতে নেওয়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী দুই বছর পর এখানে বদলে যাবে শিক্ষার পুরোনো চেহারা।’