রাজবাড়ীতে রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয় হবে: রেলমন্ত্রী

নুরুল ইসলাম সুজন। ফাইল ছবি
নুরুল ইসলাম সুজন। ফাইল ছবি

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজবাড়ীতে রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয় ও কারখানা (ওয়ার্কশপ) স্থাপন করা হবে। রাজবাড়ী রেলের শহর। রেলকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়েতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বিএনপির একসঙ্গে ১০ হাজার জনকে “গোল্ডেন হ্যান্ডশেক” দিয়ে রেলওয়ের চাকরি থেকে অব্যাহত দেয়। আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ ছিল। আমরা নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করছি। রেলকে সম্প্রসারণ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। রেলকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে। একটি সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী। এতে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুজিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফকীর আবদুল জব্বার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ রাকিব খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীসহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী দেবাহুতি চক্রবর্তী, জেলা জাসদের সভাপতি আহমেদ নিজাম মন্টু, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মো. জহুরুল হক।

সাংসদ কাজী কেরামত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতেন। রাজবাড়ীতে প্রচুর অবকাঠামো রয়েছে, জমি রয়েছে। রাজবাড়ীতে রেলওয়ের জমিতে এক হাজার আসনের একটি মিলনায়তন করা হোক।

প্রেসক্লাব সভাপতি খান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘রাজবাড়ীতে রেলওয়ের প্রচুর জমি রয়েছে। জমির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭০০ একর। অধিকাংশ জমিই নামে–বেনামে বেহাত হয়েছে। রেলওয়ের অনেক ভালো কোয়ার্টার নষ্ট দেখিয়ে ব্যক্তির দখলে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে রেলকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

সভা শেষে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বিকেলে তিনি রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন এবং জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।