ক্লাসে পলেস্তারা খসে হতাহত: ক্ষতিপূরণ কেন নয়?

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বরগুনার তালতলীর ছোটবগী ইউনিয়নের পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে হাতাহতদের বা তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

ছোটবগী পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় মানসুরা নামের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং তার ১০ সহপাঠীর আহতের ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভুত ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

‘স্কুলের ছাদ খসে শিশু নিহত’ শিরোনামে ৭ এপ্রিল প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক আহমেদ আজ রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

পরে এম মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব, যা লঙ্ঘনীয় নয়। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে বেচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। যেহেতু ওটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই এর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা দায়িত্বে অবহেলা। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, বড়গুনার জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, তালতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বরগুনার তালতলীর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ে এক শিক্ষার্থী নিহত ও আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার দুপুরে পাঠদান চলাকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।