ধর্ষক সাজা পেলেন, শিশুটির কী হবে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে হাসেম আলী (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আজ রোববার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় ওই নারী তাঁর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হাসেম আলীর বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলায়। রায়ের পর তাঁকে চুয়াডাঙ্গার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে হাসেম আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের আশ্বাস দিলেও তাকে বিয়ে করেননি হাসেম। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি কিশোরীর পরিবার। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন।

মামলার পর আদালতের নির্দেশে ভূমিষ্ঠ শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই মেয়েশিশুটি হাসেম আলীর বলে প্রমাণ মেলে।

এ রায়ের পর সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কিশোরী থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সেই নারী।