চেক জালিয়াতি: বিএনপি নেতার জেল-জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় চেক জালিয়াতি মামলায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) আট মাসের কারাদণ্ড ও ছয় লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

আসামির অনুপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা জজ-২ আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার আজ রোববার দুপুরে এই আদেশ দেন। রায়ে জরিমানার টাকা আদায়ের পর তা বাদীকে দিতে বলা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও আবাসন প্রতিষ্ঠান ঢাকার জেটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মামলার বাদী এস এম হাসিবুর রহমান চুয়াডাঙ্গা শহরের বাজারপাড়ার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এস এম হাসিবুর রহমান ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, এস এম হাসিবুর রহমান কিস্তিতে ফ্ল্যাট কেনার জন্য জাহাঙ্গীর আলমকে মোট ১৮ লাখ টাকা দেন। ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাত দফায় তিনি এ টাকা দেন। কিন্তু ফ্ল্যাট দিতে না পারলে টাকা ফেরত চাইলে জাহাঙ্গীর ২০১৭ সালের ২১ মে ৬ লাখ টাকার একটি চেক দেন (ব্যাংক এশিয়া, লালমাটিয়া শাখা)। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে অপর্যাপ্ত টাকা থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়। এরপর ওই বছরের ১৮ জুন হাসিবুর আইনজীবীর মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের নামে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং ২২ জুন তা গ্রহণ করার পরও টাকা প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন।

মামলার বাদী এস এম হাসিবুর রহমান আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী সেলিম উদ্দীন খান মামলাটি পরিচালনা করেন। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম রফিউর রহমান এ রায়কে একতরফা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম দেশের প্রতিষ্ঠিত আবাসন ব্যবসায়ী। জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি চুয়াডাঙ্গার আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতে দেওয়া রায়ের বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’