শ্রেণিকক্ষে কাদা পানি, মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ

বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে সাতকানিয়ার কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ। এতে মাদ্রাসাটির শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল দুপুরে।  প্রথম আলো
বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে সাতকানিয়ার কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ। এতে মাদ্রাসাটির শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল দুপুরে। প্রথম আলো

সড়ক ও আশপাশের কাদা পানি ঢুকে পড়েছে নিচতলার শ্রেণিকক্ষে। গেট থেকে শুরু করে বারান্দা ও সামনের মাঠে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। মাদ্রাসায় ঢুকতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ফলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

 মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, গত সোমবার দুপুরের বৃষ্টিতে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বান্দরবান রাস্তার মাথার মোড় কাদা পানিতে ডুবে যায়। পানিনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় আশপাশের এলাকার বৃষ্টির পানিও মাদ্রাসার মাঠ ও নিচতলার শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েছে।

 মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানান, মাদ্রাসার একপাশে সড়ক ও আরেক পাশে বিপণিকেন্দ্র। বিপণিকেন্দ্রটি নির্মাণের আগে বৃষ্টির পানি মাদ্রাসার পূর্ব দিক থেকে গড়িয়ে উত্তরের বিলের দিকে নেমে যেত। বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের পর সরু নালা দিয়ে অল্প পরিমাণে পানিনিষ্কাশন হতো। সম্প্রতি কেরানীহাটের কাঁচাবাজার এলাকায় সরু নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মাদ্রাসার ভেতরে ও বাইরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

 গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদ্রাসার নিচতলায় শিক্ষক মিলনায়তন, তিনটি শ্রেণিকক্ষসহ পুরো বারান্দা প্রায় দুই ফুট পরিমাণ কাদা পানিতে তলিয়ে আছে। মাদ্রাসার সামনের মাঠ ডুবে গেছে হাঁটুপানিতে। কাদা পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

 মাদ্রাসার দাখিল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জোনায়েদ ও জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলে, ‘আমরা প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও মাদ্রাসা এলাকায় এসে দেখি সড়ক ও মাঠ কাদা পানিতে ডুবে আছে। মাদ্রাসার নিচের তলায়ও কাদা পানি। এই কাদা পানি দেখে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের অনুমতি নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।’

 কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, কেরানীহাট মাদ্রাসার আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে বিপণিকেন্দ্র ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা ছাড়া পানিনিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই কেরানীহাট মাদ্রাসাসহ বান্দরবান রাস্তার মাথার মোড় পানিতে ডুবে যায়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আরিফুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর বর্ষাকালে মাদ্রাসার সামনের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ বছর সামান্য বৃষ্টিতেই মাদ্রাসার বারান্দাসহ শ্রেণিকক্ষে কাদা পানি ঢুকে পড়েছে। এ কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি সরে না গেলে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হবে না।

 সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কেরানীহাট জামেউল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা পরিদর্শন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় একটি মাত্র সরু নালা ছিল। ওই নালাটিও ভরাট হয়ে গেছে। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দপ্তরকে জরুরিভাবে চিঠি দেওয়া হবে।