এমপিওভুক্তির ঘোষণা মাসখানেকের মধ্যে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি

মাসখানেকের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, মাসখানেকের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করতে পারব।’

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এমপিও নয়—এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

নতুন করে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে—এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই সংখ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় এখন যোগ্য প্রতিষ্ঠান ঠিক করছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাইছি, যতগুলো দিতে পারি একবারই করতে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনটি একজন পরামর্শকের মাধ্যমে যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। অন্য আইনের সঙ্গে অসংগতি আছে কি না—এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, যাচাই শেষে মন্ত্রণালয় থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ পরবর্তী পর্যায়ে পাঠাতে পারবেন।

শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেরও কাজ চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বাসসের খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেডিকেল কলেজের মতো সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মত দেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারি, তাহলে কেন অন্য ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারব না? আমার বিশ্বাস, আমাদের যদি সবার একটু সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব। এক্ষেত্রে আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সহযোগিতা দেবেন।’
তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে অনেক হয়রানি কমে যায়, অর্থ অপচয় কমে যায়, কষ্ট কমে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না সারা দেশে এখানে ওখানে সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া।