বাড়তি আয়ের সুযোগ

পরিবেশবান্ধব চুলা ‘আখা’ ব্যবহারের মাধ্যমে বায়োচার উৎপাদনের কৌশল শেখানো হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব চুলা ‘আখা’ ব্যবহারের মাধ্যমে বায়োচার উৎপাদনের কৌশল শেখানো হচ্ছে।

পরিবেশবান্ধব চুলা ‘আখা’। এ চুলায় জ্বালানি কাঠ পুড়ে তৈরি হচ্ছে বায়োচার। নওগাঁর মান্দা উপজেলার শতাধিক নারী এখন আখায় রান্না করছেন। তাঁদেরই একজনের নাম বেলা রানী। বাড়ি উপজেলার শামুকখোল গ্রামে। তিনি এক বছর ধরে পরিবেশবান্ধব এই চুলা ব্যবহার করছেন। গত তিন মাসে এ চুলা থেকে উৎপাদিত বায়োচার বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন আড়াই হাজার টাকা। তা ছাড়া কিছু বায়োচার ব্যবহার করে বসতভিটায় বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন।

গত বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিসিডিবির বিজয়পুর কার্যালয়ে ‘আখা’ ব্যবহারকারী নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণে এসে এসব কথা বলেন বেলা রানী।

গৃহিণী বেলা রানী বলেন, ‘সিসিডিবির বায়োচার প্রজেক্টের মাধ্যমে আমি এক বছর আগে আখা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এ চুলা ব্যবহারের শুরুর দিকে একটু একটু সমস্যা হচ্ছিল। এখন অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের প্রচলিত চুলায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের পর কয়লা কোনো কাজে আসত না। এখন আখায় কাঠ ব্যবহারের পর কয়লা বায়োচার হিসেবে বিক্রি করছি। এ থেকে প্রতি মাসে আমার ৮০০-৯০০ টাকা বাড়তি আয় হচ্ছে। বাড়তি আয় এখন ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ায় ব্যয় করছি।