ফরিদপুরে ট্রেন কাউন্টারে টিকিট নেই ১৪ দিন ধরে

১৪ দিন ধরে ফরিদপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। চারজন টিটি ট্রেনের ভেতরে টিকিট কাটার দায়িত্ব পালন করলেও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে যাত্রীদের আছে নানা অভিযোগ। এ ছাড়া টিকিট বিক্রি কমে যাওয়ায় আয় কমেছে।

গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার কাউন্টারের টিকিট শেষ হয়ে যায়। এরপর ১৪ দিন হতে চলল। আজ বুধবার পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের সমস্যার সমাধান হয়নি।

ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর মধ্যে ট্রেন পথে দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। ফরিদপুর এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেন ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর মধ্যে প্রতিদিন দুই বেলা আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর এসে ৯টা ১০ মিনিটে আবার রাজবাড়ীর উদ্দেশে ফিরে যায়। ওই ট্রেনই আবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফরিদপুরে এসে ৬টা ৪০ মিনিটে পুনরায় রাজবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যাত্রাপথে আমিরাবাদ, পাঁচুড়িয়া নামের নির্ধারিত দুই স্টেশনে এবং খানখানাপুর, বসন্তপুর নামে অনির্ধারিত দুটি স্টেশনসহ মোট চারটি স্টেশনে ট্রেনটি থামে।

ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী মহল্লার বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, ‘কাউন্টারে টিকিট না থাকায় আমাদের টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। যেসব টিটি ট্রেনের মধ্যে টিকিট বিক্রি করেন তাদের ভূমিকা অসন্তোষজনক।’

শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট না থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আমরা বিড়ম্বনার মধ্যে আছি।’

ফরিদপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, টিকিট থাকার সময়ে একদিনে দুই দফা টিকিট বিক্রি করে আয় হতো পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এখন ট্রেনের ভেতরে চারজন টিটি যে টিকিট কাটেন, তা থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। এর ফলে ট্রেনের আয় কমে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ট্রেন ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০ এপ্রিল রেলের রাজশাহী কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত টেন্ডার হওয়ার কথা।

ফরিদপুরের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, টিকিট সরবরাহ করা হয় রেলের চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে। ১০ হাজার টিকিট আমাদের হাতে থাকতে চাহিদা জানানো হয়েছে। কিন্তু সময়মতো টিকিট দেওয়া হয়নি। টিকিট না থাকায় ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তোলা হচ্ছে। এতে আয় কমে গেছে। চাহিদা মতো টিকিট না পাওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। এর আগে ৪০ হাজার টিকিট চেয়েছিলাম, দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার। ‘আমরা যোগাযোগ করছি। আশা করছি দ্রুত টিকিট পাওয়া যাবে’—মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ট্রেন ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার কথাবার্তা চলার কারণেও টিকিট নিয়ে এ সংকট হতে পারে।