ইয়াসিন হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় কৃষক ইয়াসিন আলী মোল্লা হত্যা মামলায় বগুড়া জেলা জজ আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পাঁচজন হলেন ইসমাইল হোসেন, আবদুল মান্নান, সিরাজুল ইসলাম, জুলফিকুর আলী ওরফে টুটুল এবং আবদুর রহিম। মৃত্যুদণ্ডাদেশের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে শাহজাহান আলী সাজু ও মোহাম্মদ শিপনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মোহাম্মদ সোহাগকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোহাম্মদ রওশন আলীকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের অধিবাসী।

ইয়াসিন হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন বগুড়া জেলা আদালতের সরকারি কৌশলী আবদুল মতিন এবং ফেরদৌস আলম। আসামি পক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রেজাউল করিম।

বাহাদুরপুর আশার আলো সঞ্চার সমিতির ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই হয় ২০০৬ সালের ৩ জুন। এই ঘটনায় ইয়াসিন আলী বাদী হয়ে সে বছরের ৬ জুন ৯ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা ১৩ তারিখে জামিনে মুক্তি পায়। ১৭ জুন ওই মামলার তদন্ত করতে আসেন কর্মকর্তারা। তারা চলে যাওয়ার পরে আসামিরা এক জোট হয়ে কুড়াল, রামদা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইয়াসিন আলী মোল্লার বাড়িতে হামলা করে।

এ সময় আহত হয় ইয়াসিনসহ তার পরিবারের আরও ৮ সদস্য। গুরুতর আহত অবস্থায় গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ইয়াসিন আলী মোল্লা হত্যাকাণ্ডে গাবতলী থানায় মামলা করেন।