চাঁদাবাজির জেরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাজান-চলতি নদী বালুমহালে চাঁদাবাজির জের ধরে হামলায় মিজানুর রহমান (২৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালের এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

নিহত মিজানুর রহমান সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে চলতি নদীর পূর্ব সদরগড় এলাকায় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান তাঁর বালুর ড্যাম্প থেকে বিক্রীত বালু বাল্কহেডে তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁর কাছে চাঁদা চান। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই যুবকেরা একপর্যায়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। পরে চাপাতি ও রামদা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের মামা রেজা উদ্দিনও আহত হন।

রেজা উদ্দিনের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালানো হয়। কামারুজ্জামানসহ ১০-১২ জন এই হামলায় অংশ নেন। তাঁরা চিহ্নিত চাঁদাবাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইব্রাহিমপুর গ্রামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে বালু ও পাথর উত্তোলন এবং পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। প্রশাসন-পুলিশ সবই জানে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয় না। চাঁদাবাজদের যন্ত্রণায় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘মিজানুর রহমানকে হত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর পেছনে চাঁদাবাজ চক্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।’