গ্রেপ্তার মণিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআই

নুসরাত জাহান
নুসরাত জাহান

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া সহপাঠী কামরুন্নাহার ওরফে মণিকে নিয়ে ঘটনাস্থল ও বোরকার দোকান পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শুক্রবার দুপুরে পিবিআইয়ের একটি দল রিমান্ডে থাকা মণিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।

নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার কামরুন্নাহার ওরফে মণিকে বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবালের নেতৃত্বে একটি দল মণিকে নিয়ে সোনাগাজী পৌর শহরের মানিক মিয়া প্লাজায় একটি বোরকার দোকানে গিয়ে দোকানমালিকের সঙ্গে কথা বলে। পরে পিবিআইয়ের দলটি সোনাগাজী মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানে নুসরাতকে কীভাবে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার বিবরণ দেন মণি।

মো. শাহ আলম আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মণির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া পুরুষদের গায়ে থাকা বোরকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নুসরাতের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে যুবকের প্রতিবাদ:

নুসরাতের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করেছেন চট্টগ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আহমেদ আল মামুন নামের এক যুবক। আজ শুক্রবার সোনাগাজী পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি।

‘নুসরাত হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, অন্যায় সইব না-অন্যায় করব না’ স্লোগান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করা যুবক আহমেদ আল মামুন বলেন, ১০ এপ্রিল থেকে তিনি নুসরাত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এ সময় সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। নুসরাত হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।

৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।