ধর্ষণের দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরালের ঘটনায় তরুণ গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার বিকেলে সালথা থানায় মামলা হওয়ার পর রাতে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর তরুণ পলাতক।

৫ এপ্রিল রাতে এ ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন দুই ধর্ষক। গতকাল ওই স্কুলছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের যুগীকান্দা লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাকিল ফকির (১৯) ও তাঁর বন্ধু জাবের মাতুব্বরকে (২০) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

গতকাল রাতে লক্ষ্মণদিয়া গ্রাম থেকে আসামি শাকিল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৫ এপ্রিল রাতে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে এলে ওই দুই তরুণ তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই সময় ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনের ভিডিওতে ধারণ করেন তাঁরা। পরে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন তাঁরা।

ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষকেরা এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য ওই পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে গ্রামের মাতব্বরদের কাছে প্রতিকার চেয়েও পাননি। পরে তাঁরা আইনের আশ্রয় নেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ এ ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

ওসি বলেন, আজ মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আসামি শাকিল ফকিরকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ডের শুনানির তারিখ পরে ধার্য করার আদেশ দিয়ে শাকিলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।