জন্মের প্রথম তিন বছর শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়

জন্মের প্রথম তিন বছর শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই এ সম্পর্কে মা-বাবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার বলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জানান বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত
জন্মের প্রথম তিন বছর শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই এ সম্পর্কে মা-বাবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার বলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জানান বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

জন্মের প্রথম তিন বছর শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই এ সম্পর্কে মা-বাবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। প্রারম্ভিক শিশু বিকাশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এ সম্পর্কে দক্ষতা বাড়িয়ে মা-বাবাকে সচেতন করে তোলাটাও জরুরি।

ফ্রেম ওয়ার্কস ইনস্টিটিউট ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে প্রারম্ভিক শিশু বিকাশের পুনর্মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, জন্মের প্রথম তিন বছর একটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই এ সম্পর্কে মা-বাবার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রারম্ভিক শিশু বিকাশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এ সম্পর্কে দক্ষতা বাড়িয়ে মা-বাবাকে সচেতন করে তোলাটাও জরুরি বলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জানান বক্তারা।
প্রারম্ভিক শিশু বিকাশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এ সম্পর্কে দক্ষতা বাড়িয়ে মা-বাবাকে সচেতন করে তোলাটাও জরুরি বলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জানান বক্তারা।

ফ্রেমওয়ার্কস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এরিক লিন্ডল্যান্ড এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফেরদৌসী খানম বলেছেন, ‘যেহেতু ০-৩ বছর শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রারম্ভিক শিশু বিকাশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এ সম্পর্কে দক্ষতা বাড়িয়ে মা-বাবাকে সচেতন করে তোলাটা জরুরি। আমরা মনে করছি আমাদের এই গবেষণাটি এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

ফ্রেমওয়ার্কস ইনস্টিটিউট একটি অলাভজনক থিঙ্ক ট্যাংক, যেটি জনমত এবং সামাজিক সমস্যাগুলো ফ্রেমিংয়ের মাধ্যমে অলাভজনক খাতগুলোর যোগাযোগ দক্ষতার অগ্রগতি সাধনে সহায়তা করে থাকে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আওতাধীন একটি ইনস্টিটিউট, যা একটি সম্ভাবনাময়, সহানুভূতিশীল, এবং স্বনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি ০-১৮ বছর বয়সীদেরকে নিয়ে কাজ করছে এবং শিখন-শেখানো, মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ—এই তিনটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানকারী ভূমিকা রাখছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদসহ আলোচনায় অংশ নেন প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞরা। প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।