নকশাবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ২৪ এপ্রিল। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ২৪ এপ্রিল। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরে রাজউকের নকশাবহির্ভূত ভবনের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংসদে আজ বুধবার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক কয়েকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বহুতল ভবনের অনুমোদিত নকশা, নির্মিত তলা, অগ্নিনির্বাপণ–ব্যবস্থা, কার পার্কিং, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ইত্যাদি–সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি। ২৪টি টিমের মাধ্যমে রাজউক এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে।’


পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের প্রাণহানি এবং বনানী এফ আর টাওয়ারে ২৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বজন হারানো যে কতটা কষ্টের, তা আমি বুঝি। পায়ের নিচের মাটিটুকুও থাকে না। অনেকে হয়তো অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকেও হারিয়েছেন। সন্তান হারানো পিতা-মাতা, ভাই-বোন, পিতা হারানো সন্তান কিংবা স্বামী হারানো স্ত্রীর কষ্টটুকু আমি তাঁদের মতো করেই অনুভব করি। আমাদের সরকার ও আমি জনগণের প্রয়োজনে সব সময় তাঁদের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। এটা আমার উত্তরাধিকারের দায়বোধ।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর আমরা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এতে জানা যায়, ভবনটিতে অননুমোদিতভাবে কেমিক্যাল গোডাউন ও রিফিলিং কারখানা ছিল। যেখানে বিপুল পরিমাণ বডি স্প্রে, এয়ার ফ্রেশনার, অ্যারোসল, গ্যাস লাইটার, ফুয়েল ইত্যাদি গুদামজাত করা ছিল। ভবনটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ–ব্যবস্থা ছিল না।’


এফ আর টাওয়ার প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, এই টাওয়ারের অটোলক সিস্টেম, ফায়ার লিফট ও ইমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবস্থা ছিল না। ভবনটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ–ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার সার্ভিস থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদন নেওয়া হয়নি। রাজউক থেকে ১৮ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ২২ তলা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগেই ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শন করে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ বিষয়াদি নিশ্চিত করতে নোটিশ দেয়। কিন্তু এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ এ–সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।