শাহরাস্তিতে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ভাশুর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এক গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ভাশুর জহির হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলার পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কোহিনুরের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার দিকে শাহরাস্তি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটনীখোলা গ্রামের জহির হোসেন (৪০) বসতঘরের সিঁধ কেটে কোহিনুরের ঘরে ঢোকেন। পরে জহির তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। ওই সময় তাঁর মেয়ে মুক্তা আক্তার এগিয়ে গেলে তাঁকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে কোহিনুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

জহির হোসেন সম্পর্কে কোহিনুরের চাচাতো ভাশুর। ঘটনার পর জহির পালিয়ে যান। ঘটনার চার দিন পর ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোহিনুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

কোহিনুরের স্বামী আরিফুল ইসলাম সৌদি আরবপ্রবাসী। ঘটনার পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এ ঘটনায় কোহিনুরের দেবর হাবিবুর রহমান শাহরাস্তি থানায় জহিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহরাস্তি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল বলেন, জহির হোসেনকে কচুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শেখ রাসেলের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ১৯ এপ্রিল রাতে তিনজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, জহির হোসেনের সাবেক স্ত্রী লাকি আক্তারকে কোহিনুরের ছোট ভাই বিয়ে করেন। এ বিয়ের জন্য জহির কোহিনুরকে দায়ী করে আসছেন। মূলত, বিয়ের ঘটনার কারণেই জহির এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।