সেচপাম্প নিয়ে বিরোধে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় সেচপাম্পের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক কৃষকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম যাদব সেন (৫৮), বাড়ি তাড়ুয়াপাড়া গ্রামে। আজ রোববার সকালে উপজেলার প্রতাপকাঠি গ্রামের ডুমুর বিলে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহত যাদব সেনের ভগ্নিপতি গোপাল চন্দ্র দাসকে আটক করেছে।

ওই ঘটনায় আহত মাধব সেন বলেন, তাঁরা চার ভাই। পৈতৃক সূত্রে তাঁরা একটি সেচপাম্প পেয়েছেন। বড় ভাই আনন্দ সেন ঢাকাতে থাকেন। সেচপাম্পের মালিকানা নিয়ে সেজ ভাই মাধব সেন ও ছোট ভাই যাদব সেনের সঙ্গে মেজ ভাই মদন সেনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সেচপাম্পের মালিকানা পেতে দুই বছর আগে তাঁরা ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। পরিষদের পক্ষ থেকে তিন ভাইকে এক বছর করে বোরো মৌসুমে সেচপাম্প চালানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পাম্পটি তাঁদের মেজ ভাই মদন সেনের দখলে যায়। সময় পার হলেও মদন সেন সেচপাম্পের দখল ছাড়তে চাননি।

মাধব সেনের ভাষ্য, বোরো মৌসুম শেষ হওয়ায় আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছোট ভাই যাদব সেন এবং ভাগনে বিশ্বনাথ দাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেচপাম্পটি খুলে আনতে প্রতাপকাঠি গ্রামের ডুমুর বিলে যান। ভাগনে বিশ্বনাথ সেচপাম্পটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পেছনে দুই ভাই হেঁটে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে মেজ ভাই মদন সেন, তিন ভাগনে সুবাস দাস, কানাই দাস ও উত্তম দাস এবং তাঁদের সহযোগী ইমান আলী পথেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে যাদব সেনের মৃত্যু হয়।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, যাদব সেনের কয়েক মাস আগে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। মেজ ভাই, তিন ভাগনে এবং তাঁদের এক সহযোগী লাঠি দিয়ে পেটানোয় ঘটনাস্থলেই যাদব সেনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তম, সুবাস ও কানাই দাসের বাবা গোপাল দাসকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।