নির্যাতনের শিকার মেয়ে মামলা করল মা-বাবার বিরুদ্ধে

চিকিৎসার নামে নির্যাতনের অভিযোগে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় মা–বাবা, কবিরাজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। মামলার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা ও কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির পরিবার গত মাসে তার অমতে নাটোরের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। তবে সে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বাবার বাড়িতে ফিরে আসে মেয়েটি। গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুজন পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৩ এপ্রিল দুজন মিলে পালানোর চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন তাদের আটকে দেয়। মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। একই সঙ্গে মেয়ে অসুস্থ দাবি করে আবদুস সালাম নামে স্থানীয় এক কবিরাজকে বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসার নামে মেয়েটির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। চিকিৎসার নামে ওই কবিরাজ মেয়েটির জিব পুড়িয়ে দেন ও সুই দিয়ে হাতের আঙুল ফুটো করে দেন। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল সকালে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আটঘরিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি নির্যাতনের ঘটনা পুলিশকে জানায়। পরে সে তার বাবা-মা, চাচা ও কবিরাজ আবদুস সালামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির বাবা ও কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষে মেয়েটিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে মেয়েটিকে তার প্রকৃত অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।