হত্যা মামলায় দুই দশকেও সাক্ষ্য হয়নি, বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট

ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। দুই দশকের বেশি সময় আগে ঢাকার তৎকালীন ডেমরা থানায় (বর্তমানে শ্যামপুর) করা একটি হত্যা মামলায় এখনো সাক্ষ্য না হওয়ায় বিচারককে তলব করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে মামলার নথিপত্রসহ আগামী ৮ মে বেলা দুইটায় বিচারক মোহাম্মদ নুরুল আমিন বিপ্লবকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ওই মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে সাক্ষ্য না হওয়ার বিষয়টি নজরে এলে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিকালে আদালত বলেন, নথি অনুসারে ১৯৯৮ সালে মামলাটি হয়, ২০০৩ সালে বিচারের জন্য যায়। তবে এখনো একজন সাক্ষীও আসেননি। মামলাটি জাদুঘরে রাখার মতো।

বিচারিক আদালতে ওই মামলায় জামিন চেয়ে বিফল হয়ে আসামি হেমায়েত ওরফে কাজল হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আদালতে হেমায়েতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রশিদ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। 

পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৮ সালে ওই হত্যা মামলাটি দায়ের হয়। এত দিনে একজন সাক্ষীও আসেননি। এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
নথি সূত্রে জানা যায়, হযরত আলীকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বাবা শওকত আলী ফকির বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ ডেমরা থানায় ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে এই মামলায় ২০০৩ সালের ১১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে ওই মামলায় জামিনে থাকা আসামি হেমায়েত ধার্য তারিখে বিচারিক আদালতে হাজির না হওয়ায় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন বাতিল হয়। চলতি বছরের ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে হেমায়েত জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর শুনানিতে আদালত আজ ওই আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে ২ মে ওই মামলায় ধার্য তারিখ রয়েছে।