সংসদে যোগদানের বিনিময়ে হলেও খালেদার মুক্তি চান তিনি

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ।
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ।

বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিন পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। জাতীয় সংসদে বিএনপির পাঁচজন সাংসদের যোগ দেওয়ার বিনিময়ে হলেও খালেদার মুক্তি চেয়েছেন তিনি।

হারুনুর রশীদসহ বিএনপির চারজন সাংসদ গতকাল সোমবার শপথ গ্রহণ করেন এবং জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন। এরপর ১৪৭ বিধিতে আনা সন্ত্রাসী হামলা ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান হারুনুর রশীদ।

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। তবু বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। তাঁরা সংসদে প্রবেশ করেছেন। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তাহলে অন্তত আমরা মানুষের কাছে, দেশের কাছে বলতে পারব, আমরা সংসদে ঢোকার পর ওনাকে প্রধানমন্ত্রী মুক্তি দিয়েছেন। ওনার বয়স হয়ে গেছে। অনুরোধ করব, ওনার যেন জামিন হয়।’

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এবং শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জাসহ আটটি স্থানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা এবং ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন, পুড়িয়ে হত্যাসহ সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তাব উত্থাপন করেন সরকারি দলের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ।

আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিম্ন আদালতের ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত। উনি দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালত থেকে খুন, হত্যা, ধর্ষণ মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে আসছে। খালেদার বিচার করেন, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। খালেদা জিয়া হুইলচেয়ারে চলাফেরা করছেন। এই অবস্থায় তাঁর জেলখানায় থাকার কথা নয়। অন্ততপক্ষে ওনার জামিন পাওয়া উচিত।’