দুর্বৃত্তরা রাতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সড়কের ইট
বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি সড়কের ইট অবাধে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ইট বিছানো সড়কটি স্থানে স্থানে ফাঁকা হয়ে হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা মাজার থেকে সোহাগিপাড়া ইছামতী নদীর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তা রয়েছে। একসময় এই কাঁচা রাস্তায় যানবাহন চলাচলে কাদা পানিতে একাকার হয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ কারণে ২০০৯-১০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তার মহিশুরা মাজার থেকে চরখুকশিয়া গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ মিটার কাঁচা রাস্তায় ইট বসিয়ে চলাচলের উপযোগী করে। কিন্তু স্থানীয় দুর্বৃত্তরা এসব ইট তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে চরখুকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নির্মাণের পর থেকেই স্থানীয় কিছু বাসিন্দা রাতের আঁধারে রাস্তা থেকে ইট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এসব ইট বাড়িতে নিয়ে ঘরের খুঁটি, মাচার খুঁটি ও ঘরের দেয়াল তৈরি করছে। এতে ইট বিছানো এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি শিগগির কার্পেটিং করে নির্মাণ করা না হলে সব ইট খোয়া যাবে।
চরখুকশিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সারা দিন যানবাহনের চাকার চাপে সলিং করা ইটগুলো নড়াচড়া করে আলগা হয়ে পড়ে। সুযোগ বুঝে এলাকার কিছু মানুষ রাতে এসব ইট বাড়ি নিয়ে যায়।
গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, সরকারি বরাদ্দে সলিং করা রাস্তা থেকে ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানাননি। তারপরও তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’