১২০০ ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিডিসিএলের তিনজন প্রকৌশলী জানান, ২০১৬ সালে বিজিডিসিএলের আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন উপজেলায় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদার গ্যাসের অবৈধ পাইপলাইন তৈরি করেন। এরপর অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়। এ কারণে বৈধ লাইনের গ্রাহকেরা স্বল্পচাপের কারণে প্রয়োজনীয় চাপে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিনের অধিকাংশ সময় বৈধ গ্রাহকদের চুলায় মিটমিট করে গ্যাস জ্বলে। এতে গৃহস্থালির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কোম্পানি সেই অবৈধ গ্যাস পাইপলাইনের সন্ধান পেয়েছে। জায়গাও শনাক্ত করেছে।
বিজিডিসিএলের একজন ব্যবস্থাপক বলেন, ২০১৪-১৫ সালে দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোমতী নদীর দক্ষিণ পাড়ে মাস্টার অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পাইপলাইন থেকে বুড়িচংয়ে গ্যাস ঢোকানো হয়। এ উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নে অন্তত ৩০০ অবৈধ গ্রাহক রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সেখানকার ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ কাজ করেন। ২০১৬ সালে এ ছয় কর্মকর্তা–কর্মচারীর পদোন্নতি, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করাসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেন তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম খান। একই সঙ্গে ওই ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করেন। পরে ঠিকাদার আদালতে গিয়ে তাঁর লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিডিসিএলের এমডি প্রকৌশলী নিজাম শরিফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ লাইন উচ্ছেদ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম চলবে। আগামী ১৩ মের মধ্যে চৌদ্দগ্রাম, মুরাদনগর ও চান্দিনা এলাকার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।