নানা-নাতিকে খুঁজতে গিয়ে মিলল তরুণীর লাশ

পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন নানা-নাতি। তাঁদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তাঁদের সন্ধানে গিয়ে ওই পাহাড়ে খুঁজে পায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক তরুণীর মৃতদেহ। কক্সবাজারের টেকনাফের দক্ষিণ শীলখালী চৌকিদারপাড়া–সংলগ্ন পাহাড় থেকে গতকাল মঙ্গলবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এটি গলে বিকৃত হয়ে গেছে। ওই তরুণীর আনুমানিক বয়স ২৫ বছর। তবে অপহরণের শিকার দুজনের এখনো সন্ধান মেলেনি।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) এ বি এম এস দোহা বলেন, গত সোমবার বিকেলে গরু চরাতে গিয়ে ওই এলাকার মো. কাশেম (৫৫) ও মো. সলিম উল্লাহ (১২) নিখোঁজ হন। সম্পর্কে তারা নানা-নাতি। তাঁদের খুঁজতে গিয়ে গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে দক্ষিণ শীলখালী চৌকিদারপাড়া–সংলগ্ন পাহাড় থেকে তরুণীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নানার সঙ্গে নিখোঁজ কিশোর মো. সলিম উল্লাহর বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘ওই পাহাড়ে কিছুদিন ধরে সশস্ত্র মুখোশধারীরা অবস্থান করছে। তারা এলাকার আরও কয়েকজনকে মারধর করেছে। গত সোমবার আমার বাবা ও ছেলে গরু চরাতে গেলে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মুঠোফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে। আজ (গতকাল) তাদের ছেড়ে দেবে বলে তারা জানিয়েছিল। কিন্তু ছেড়ে না দেওয়ায় বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাই।’

অপহৃত দুজনের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই পাহাড়ে অভিযানে যায়। এরপর মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের তরুণীর লাশ দেখতে পায়। ওই লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। অপহরণ করা নানা-নাতিরও কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ও লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, উদ্ধার করা লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দিয়ে লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।