ফণীর আশঙ্কায় আজও মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় আজ শুক্রবারও মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত সব জাহাজ ও জেটিতে পণ্য ওঠানামার কাজসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি জারি বলবৎ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে কন্ট্রোল রুম খুলে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা জানান, আবহাওয়া অফিস থেকে ৪ থেকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর বন্দরে অবস্থানরত ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল), মেশিনারি, গ্যাস, স্লাগসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট -থ্রি জারির পর বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাইকারী লাইটারেজকেও নিরাপদে নোঙর করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের বড় জাহাজগুলো বন্দর চ্যানেলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি দুর্গত মানুষ যেন সেগুলোতে সঠিকভাবে আশ্রয় নিতে পারে, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার মসজিদগুলোর মাইকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ, সিপিপিসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, যেসব দর্শনার্থী এখনো বিভিন্ন নৌযানে করে বনের ভেতরে অবস্থান করছেন, তাঁদেরও নিরাপদে সরিয়ে দিতে বন প্রহরীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।