ব্যাংকের এমডির হিসাবে ৩৫ কোটি টাকা, দুদকে বিএফআইইউর চিঠি

এনসিসি ব্যাংকের এমডি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
এনসিসি ব্যাংকের এমডি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওয়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আজ মঙ্গলবার বিএফআইইউর পাঠানো ওই চিঠি দুদকে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, কমিশন এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।

বিএফআইইউর এক বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায়, এনসিসি ব্যাংকের এমডির হিসাবে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতার টাকা ছাড়াও পরামর্শক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শেয়ারবাজার থেকে টাকা জমা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্রোকারেজ হাউসে এমডির নিজের ও স্ত্রীর নামে এই অর্থের লেনদেন হয়েছে।
পাঁচটি ব্যাংকে থাকা মোসলেহ উদ্দিনের হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ। একই সঙ্গে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের হিসাবও জব্দ করেছে সংস্থাটি। বিশেষ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বিএফআইইউ বলেছে, ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘অবৈধ’ ৩৫ কোটি টাকা এমডির ব্যাংক হিসাবে (https://www.prothomalo.com/economy/article/1592424) শিরোনামে বিশেষ অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সূত্র জানাচ্ছে, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের আয়ের উৎস ও সম্পদের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদকে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। তাঁকে অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সাল পর্যন্ত যমুনা ব্যাংকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি এনসিসি ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি এনসিসি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব নেন।