জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে তিন আসামি

নুসরাত জাহান।
নুসরাত জাহান।

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার তিন আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ও মো. জাবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার এই তিন আসামিকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে একদিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষার আগে নুসরাতকে ডেকে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন দেওয়ার সময় কেরোসিন ঢালতে একটি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই গ্লাস উদ্ধার করতেই মূলত তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ফেনীতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গতকাল রিমান্ডের আদেশ পাওয়ার পর বিকেলেই পিবিআই তিন আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ও মো. জাবায়েরকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আসামিদের দেখানো স্থান থেকে গ্লাসটি উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, এটি নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১২ জন আসামি ইতিমধ্যে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তা ছাড়া কেরোসিন বিক্রেতা, বোরকা বিক্রেতা ও তাঁর কর্মচারী, অধ্যক্ষের অতি ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মাদ্রাসার পিয়ন ও নৈশপ্রহরীসহ ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। রিমান্ডে থাকা অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।