১৭ দিন লড়ে মারা গেলেন তিনি

সফিজ উদ্দীন
সফিজ উদ্দীন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে জখম করার ১৭ দিন পর এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত তরুণের পরিবার গতকাল শুক্রবার হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

নিহত তরুণের নাম সফিজ উদ্দীন (২৫)। তিনি শিমুলবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে সফিজকে প্রতিপক্ষরা দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সফিজের বাবা আশরাফ আলী নৌকা ও জাল দিয়ে যমুনা নদী থেকে মাছ শিকার করেন। ২০ এপ্রিল দুপুরের দিকে আশরাফ আলী মাছ শিকার শেষে যমুনার শিমুলবাড়ি ঘাটে নৌকা বেঁধে রেখে বাড়িতে আসেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁদের প্রতিবেশী শিমুলবাড়ি গ্রামের বাবু খানের লোকজন আশরাফ আলীর নৌকা থেকে একটি বইঠা নেন। তাঁরা তাঁদের নৌকা চালাতে গিয়ে বইঠাটি ভেঙে ফেলেন। এই ঘটনা নিয়ে ওই দিন বাবু খান ও আশরাফ আলীর লোকজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। সেই ঘটনার জের ধরে ২১ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে গোসাইবাড়ী বাজারের গরুহাটি এলাকায় বাবু খানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফ আলীর ছেলে সফিজকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সফিজকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সফিজ মারা যান। এই ঘটনায় সফিজের বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে বাবু খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গতকাল ধুনট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর থেকে বাবু খান ও তাঁর লোকজন পলাতক। এই কারণে চেষ্টা করেও সফিজ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, সফিজ উদ্দিন মারা যাওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা রয়েছে। সফিজের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।