জুলহাস-তনয় হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটটিসি)।

একই সঙ্গে অভিযোগপত্রটি অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছে তারা। সিটিটিসির উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিটিটিসি সূত্র জানা যায়, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (পুরোনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গিকে আসামি করে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে। এ মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন (২৫), মো. আরাফাত রহমান (২৪), মো. শেখ আবদুল্লাহ জোবায়ের (২৭) ও আসাদুল্লাহ। জিয়া ছাড়া পলাতক বাকি তিনজন হলেন, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মো. জুনাইদ আহমদ।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলাবাগানের বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা জুলহাজ মান্নান (৩৫) ও তার বন্ধু মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যা করে। জুলহাজ ও মাহবুবকে হত্যা করে পালানোর সময় বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লাকেও কোপায়। রাস্তায় পালানোর সময় এক দুর্বৃত্তকে জাপটে ধরেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মমতাজউদ্দিন। তাঁকেও কুপিয়ে ওই দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। তবে এএসআই মমতাজ ওই দুর্বৃত্তদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ রেখে দিতে সক্ষম হন। ওই ব্যাগে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মুঠোফোন পাওয়া যায়।

জুলহাজ সমকামীদের অধিকারবিষয়ক সাময়িকী রূপবান সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নাট্যকর্মী মাহবুব পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও কাজ করতেন। এ ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে কলাবাগান থানায় করা দুই মামলা তদন্ত করে সিটিটিসি। আনসার আল ইসলাম দুজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটি নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা বলে দাবি করে।