সাতক্ষীরায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে গৃহবধূকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ, আটক ১

সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে আগরদাঁড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটক হওয়া ওই যুবকের নাম মাসুম বিল্লাহ (২০)। তিনি একজন নির্মাণশ্রমিক। আক্রান্ত নারীর নাম মনিরা সুলতানা (২৪)। তিনি আগরদাঁড়ি গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী। মাসুমের দাবি, মনিরা সম্পর্কে তাঁর ফুফু হন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, কালেরডাঙ্গি গ্রাম থেকে ছয় বছর আগে মনিরা সপরিবারে আগরদাঁড়ি পূর্বপাড়ায় জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। বসবাসের শুরু থেকেই প্রতিবেশী আবদুল মজিদের স্ত্রী শাহানারা ও তাঁদের ছেলে মাসুম মনিরাদের ভালো চোখে দেখতেন না। মাসুমরা কয়েকবার মনিরাদের উচ্ছেদেরও চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।

মনিরা আরও বলেন, রোববার রাত নয়টার দিকে তিনি গোসলখানায় গোসল করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে অ্যাসিড ছুড়ে মাসুমকে পালিয়ে যেতে দেখেন তিনি। এরপর স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট শরিফুল ইসলাম বলেন, মনিরার পিঠে অ্যাসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া কী ধরনের দাহ্য পদার্থ, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। মনিরার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তাঁকে ঢাকা অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে মাসুম বিল্লাহ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, মনিরা সম্পর্কে তাঁর ফুফু। জমি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সীমানার মেহগনি গাছের ডাল কাটা নিয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে মনিরার ঝগড়া চরম আকার ধারণ করে। আর ওই ঝগড়ার কারণে মাসুমকে মিথ্যা অ্যাসিড মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার গভীর রাতে মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। তবে আজ সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।