ঈদ উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করবে ৫২টি লঞ্চ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল ও দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে এবার ৫২টি লঞ্চ বিশেষ যাত্রীসেবা দেবে। এর মধ্যে বরিশাল-ঢাকা সরাসরি ও ভায়া পথে চলাচল করবে ৩২টি লঞ্চ। এ ছাড়া সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) পাঁচটি নৌযানও যুক্ত হবে বিশেষ যাত্রীসেবায়।

প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। চাপ সামলাতে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানিগুলো বিশেষ সেবা দেয়। এরই মধ্যে বরিশাল-ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার নৌপথে কতগুলো যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে, এর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।

বেসরকারি নৌযান মালিকদের সংগঠন জাপ-এর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, এবার ঈদে বিশেষ যাত্রীসেবায় লঞ্চের সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি। কবে থেকে বিশেষ যাত্রীসেবা শুরু হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি নৌযান মালিক সমিতির সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিআইডব্লিউটিএর সূত্র বলছে, এবার ঈদে নৌপথে বিশেষ সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলোতে অন্তত ৫২টি লঞ্চ যুক্ত হবে। এ ছাড়া এই পথে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে সরকারি বিআইডব্লিউটিসির আরও পাঁচটি স্টিমার।

>ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে ঈদ-পরবর্তী এক সপ্তাহ এই বিশেষ যাত্রীসেবা চালু থাকবে।
বরিশাল-ঢাকা সরাসরি ও ভায়া পথে চলাচল করবে ৩২টি লঞ্চ
বিআইডব্লিউটিসির পাঁচটি জাহাজ ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-হুলারহাট ভায়া বরিশাল হয়ে ঈদের বিশেষ যাত্রীসেবা দেবে
ঈদ মৌসুমে রোটেশন পদ্ধতি তুলে নিয়ে প্রতিদিনই লঞ্চগুলো দুটি করে ট্রিপ দেবে

বিআইডব্লিউটিএর সূত্রটি জানায়, বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বর্তমানে ২১টি বেসরকারি লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে রোটেশন অনুযায়ী প্রতিদিন ঢাকা ও বরিশাল থেকে ৮ থেকে ১০টি করে লঞ্চে যাত্রীসেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঈদ মৌসুমে রোটেশন পদ্ধতি তুলে নিয়ে প্রতিদিনই এসব লঞ্চ দুটি করে ট্রিপ দেবে।

বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কবির হোসেন বলেন, ঈদের বিশেষ সেবায় এবার ঢাকা-বরিশাল নৌপথে এমভি কীর্তনখোলা গ্রুপের দুটি, অ্যাডভেঞ্চার গ্রুপের তিনটি, এমভি সুন্দরবন গ্রুপের তিনটি, এমভি সুরভী গ্রুপের তিনটি, এমভি পারাবত গ্রুপের পাঁচটি, গ্রিনলাইন কোম্পানির দুটি, এমভি কামাল কোম্পানির দুটি লঞ্চ ছাড়াও এমভি মানামী, এমভি টিপু-৭ ও এমভি ফারহান-৮ সরাসরি যাত্রীসেবা দেবে। এর মধ্যে গ্রিনলাইন কোম্পানির দুটি ও অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির একটি লঞ্চ দিনের বেলা চলাচল করবে।

এ ছাড়া ঝালকাঠি ও তুষখালী-ঢাকা নৌপথে বরিশাল ভায়া হয়ে চলাচল করবে সাতটি লঞ্চ। একইভাবে পটুয়াখালী-ঢাকা পথে সরাসরি আটটি লঞ্চ বিশেষ সেবা দেবে। ভোলা-ঢাকা পথে সরাসরি আটটি লঞ্চ চলাচল করে। স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা ও ভোলা প্রান্ত থেকে দুটি করে মোট চারটি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদের আগে ও পরে অন্তত ১০ দিন আটটি লঞ্চই একসঙ্গে প্রতিদিন চলাচল করবে।

এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির পাঁচটি জাহাজ ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-হুলারহাট ভায়া বরিশাল হয়ে ঈদের বিশেষ যাত্রীসেবা দেবে।

বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগের মতো এবারও ঈদ সেবায় তাঁদের সংস্থার এমভি বাঙালি, মধুমতি, পিএস লেপচা, পিএস টার্ন ও পিএস মাহসুদ—এই পাঁচটি জাহাজ চলাচল করবে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে ঈদ-পরবর্তী এক সপ্তাহ এই বিশেষ যাত্রীসেবা চালু থাকবে।