সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কূটকৌশলে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি কৃষকের উন্নয়নে কিছু না করেও এখনো নানা কূটকৌশলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে। পাটকলের শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকানি দিয়ে কৃষকদের ফুসলিয়ে তাদের দিয়ে আন্দোলন করাতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণ বিএনপির এমন ঘৃণ্য কাজ রুখে দিয়েছে।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন খাদ্যঘাটতির দেশ ছিল বাংলাদেশ। এখন দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত। বিএনপির সময়ে কৃষকেরা সারের দাবিতে আন্দোলন করলে গুলি করে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করো হয়েছিল। যারা কৃষকদের গুলি করে মারে, সার বীজ দিতে পারে না, কৃষকদের লুটপাট করে—তাদের কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ১৯৯৯ সালে খাদ্যঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এসে তাদের লুটপাটের কারণে দেশে আবারও খাদ্যঘাটতি দেখা দিয়েছিল। বিএনপির অর্থমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিনবেলা ভাত খাওয়ার কারণে দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়। তিনি সে সময় ভাতের পরিবর্তে সবাইকে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে সার বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান করাসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্নে হলেও দেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের অতিরিক্ত ফলনের কারণে দাম কম হলে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। এর ফলে বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করার আহ্বান হাছান মাহমুদ বলেন, দল এখন পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর কোনো আনন্দ মিছিল করিনি। দল ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। তিনি নেতা-কর্মীদের বিনয়ী ও নম্র হওয়ার আহ্বান জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী শাহ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।