সীমিত পরিসরে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত

চালের ছবিটি প্রতীকী।
চালের ছবিটি প্রতীকী।

সীমিত পরিসরে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোন কোন দেশে চাল রপ্তানি করা যায়, সেই বাজার খোঁজার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশে এ বছর উদ্বৃত্ত চাল থাকায় কৃষক বোরো ধানের দাম পাচ্ছেন না। উদ্বৃত্ত চাল রপ্তানি হলে চালকলমালিকেরা বেশি করে ধান কিনবেন। এতে ধানের দাম বাড়বে বলে সরকার মনে করছে।

মূলত আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের চালের বাজার আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এ বছর দুই কোটি টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। গত আমনেও বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণে চাল উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। কী পরিমাণে চাল রপ্তানি হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা ও দেশের বাজারে তার দামের ওপরে প্রভাব বুঝে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের চালকলমালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুই লাখ টন চাল রপ্তানির অনুমতি চাওয়া হয়।