শাহজালাল বিমানবন্দরে ৮ ঘণ্টায় ১২ কেজি সোনা জব্দ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ কেজি সোনার চালান জব্দ করা হয়েছে। দুটি পৃথক ঘটনায় এসব সোনার চালান জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুস সালাম, মোহাম্মদ শাকিল মোল্লা ও মাকসুদুর রহমান নামে বিদেশ ফেরত দুই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুজনের কাছ থেকে জব্দ হওয়া সোনার মূল্য সোয়া ছয় কোটি টাকার বেশি।

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপপরিচালক অথেলো চৌধুরী বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে আসা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট গতকাল সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটের যাত্রী আব্দুস সালামকে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর্চওয়ে মেশিনে তল্লাশি করা হলে সালামের প্যান্টের মধ্যে ধাতব পদার্থের সংকেত পাওয়া যায়। তাঁর পরনে প্যান্টে লুকানো সাদা রঙের স্কচটেপে মোড়ানো দুটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে এই দুটি প্যাকেট থেকে সোনার ১০৩টি বার পাওয়া যায়। প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস সালাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি সোনার যেসব বার পাচার করে এনেছিলেন এর মালিক এইচ এম নুরুজ্জামান ওরফে জিকো নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি ঢাকার খিলক্ষেতে। আব্দুস সালামের মুঠোফোনে নুরুজ্জামানের ছবি এবং পাসপোর্টের ছবিও পাওয়া যায়। বিমানবন্দরে কর্মরত কোনো এক সংস্থার এক কর্মকর্তার কাছে সোনা চালানটি দেওয়ার কথা ছিল। পরে ওই কর্মকর্তাই নুরুজ্জামানের কাছে সোনা হস্তান্তর করবেন বলে কথা ছিল। আব্দুস সালাম মে মাসে পাঁচবার সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করেছেন। আগেও বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তার মাধ্যমে সোনার চালান হস্তান্তর করেছেন। তবে যাত্রী বিমানবন্দরে কর্মরত ওই কর্মকর্তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, আজ সকাল সাতটার দিকে ইউএস বাংলার এই ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন মাকসুদুর ও শাকিল মোল্লা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি করা হয়। প্রথম অস্বীকার করার পর এই দুই যাত্রীকে ব্যাপক তল্লাশি করা হয়। এ সময় মাকসুদুর ও শাকিল তাঁদের পায়ুপথে সোনার বার থাকার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তাদের পায়ুপথ থেকে সোনার ২০টি বার উদ্ধার করা হয়। এসব সোনার বারের ওজন দুই কেজি ২৪৭ গ্রাম। এর মোট মূল্য এক কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

তিন যাত্রীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।