পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামে আল মামুন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। গতকাল সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাঠেরপুল এলাকায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামে আল মামুন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। গতকাল সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাঠেরপুল এলাকায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামে আল মামুন ওরফে মিন্টু নামের পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্মস্থলে না গিয়ে বাড়িতে থেকে ‘জাল-জালিয়াতি’সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এর প্রতিকার চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুটি ইউনিয়নের কাঠেরপুল এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে মানববন্ধন করা হয়। এতে কুটি ইউনিয়নের সাত গ্রামের কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাইজখার গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জুলহাস সওদাগর বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি কাঠেরপুল এলাকায় রানিয়ারা মৌজায় ৩২ শতক ভূমি কেনেন। পরে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে সেই জায়গায় বিপণিবিতান (মার্কেট) নির্মাণ করেন। সেই মার্কেটে দুই বছর আগে দোকান ভাড়া নেন এএসআই আল মামুন। পরে সেখানে ১০ শতক ভূমির ভুয়া দলিল করে মালিকানা দাবি করছেন আল মামুন ও তাঁর ভাই কাইয়ুমের শাশুড়ি শিরিন আক্তার। বর্তমানে তিনি দোকানের ভাড়াও দিচ্ছেন না। অপর দিকে দোকানও ছাড়ছেন না। এ ব্যাপারে গ্রামে একাধিক বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু তিনি বৈঠকে হাজির হন না।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে কুটি ইউপি সদস্য মোকাদ্দেস, সিদ্দিক ও অনু এবং স্থানীয় বাসিন্দা কামাল মিয়া, আবদুর রশিদ ও হানিফ ভূঁইয়া বলেন, আল মামুন পুলিশের চাকরি করেও মাসের পর মাস গ্রামে এবং কসবায় অবস্থান করেন। বিভিন্ন সময় সাজানো দেনদরবার করে উভয় পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেন। আল মামুন এখন এলাকার আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা আরও বলেন, ৩ জুন গ্রামবাসীর পক্ষে জুলহাস সওদাগর বাদী হয়ে এএসআই আল মামুনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

আল মামুন বলেন, তিনি চাঁদপুরের হাইমচর থানায় এএসআই পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি মেডিকেল ছুটিতে বাড়িতে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি জুলহাস সওদাগরের কাছ থেকে দোকানটি ভাড়া নিয়েছি সত্য। আমার ভাই ও তাঁর শাশুড়ি ১০ শতক ভূমি ক্রয় করেছেন হাল ৫৯ দাগে। জুলহাসের মার্কেট সেই দাগে, তা আমার জানা নেই।’

 কসবা থানার ওসি মো. আবদুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় জুলহাস সওদাগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে হাইমচর থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল মামুন সেখানে কর্মরত নন। হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আল মামুন এই থানায় এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় তাঁকে জেলা পুলিশ লাইনসে বদলি করা হয়েছে।