দুদকে আসছেন না মিজান ও বাসির

মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাসির
মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাসির

ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের আজ সোমবার দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের দিন থাকলেও আসছেন না তাঁরা।

দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসছেন না মিজানুর রহমান। অন্যদিকে, যোগাযোগ করা হলে খন্দকার এনামুল প্রথম আলোকে জানান, তিনি এখনো এ–সংক্রান্ত কোনো চিঠিই পাননি।

আজ সকালে ডিআইজি মিজান ও দুপুরে দুদকের পরিচালক এনামুলের দুদকে হাজির হওয়ার কথা ছিল।

সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান দুদকের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত একটি সমস্যায় আছেন। দুদকে হাজির হতে তাঁর আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এর আগে গত ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গতকাল রোববার হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন মিজানুর রহমান।

অন্যদিকে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে খন্দকার এনামুল বাসির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিজেও অসুস্থ। যে কারণে আমি আসতে পারব কি না, নিশ্চিত না। তবে যদি চিঠি আসে, তখন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’

ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে মিজানুরকে দুদক কার্যালয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে মিজানুর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কোটি টাকারও বেশি সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। মিজানুরের নামে ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার অসংগতিপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা দুদকের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তদন্ত শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।