সম্ভবত হিংস্র প্রাণী বা মাছ তাঁদের শরীরের অংশ খেয়ে ফেলেছে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে আজ শুক্রবার ভোরের দিকে আরও তিন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো বিকৃত হয়ে গেছে। পুলিশের ধারণা, হিংস্র প্রাণী অথবা মাছ মরদেহগুলোর একাংশ খেয়ে ফেলেছে।

কক্সবাজার উপকূলে ৬ জুলাই ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ১৭ জেলেসহ মাছ ধরা একটি ট্রলার উল্টে যায়। ওই তিন মরদেহ ডুবে যাওয়া ট্রলারের বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় এ নিয়ে গত তিন দিনে ১১ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার হলো। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ট্রলারের দুই জেলে মো. জুয়েল (২২) ও মানির আহমদকে (৫০)। তাঁদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাজ গ্রামে। ট্রলারের চার জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার ভোরে শহরের সমিতিপাড়া, কলাতলী বেইলি হ্যাচারি ও হিমছড়ির দরিয়ানগর সৈকত থেকে পুলিশ আরও তিন ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা ওই ট্রলারের জেলে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহগুলোর মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে। সম্ভবত হিংস্র প্রাণী অথবা মাছ তাদের শরীরের অংশ খেয়ে ফেলেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার সকালে সৈকতের সিগাল ও শৈবাল পয়েন্ট থেকে পুলিশ ছয় জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। এ সময় দুই জেলে জুয়েল ও মনির আহমদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার মহেশখালীর সোনাদিয়া ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকত থেকে উদ্ধার করে আরও দুটি মৃতদেহ। শুক্রবারের ৩টিসহ মোট ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এর মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া সাত জেলের মরদেহ নিজ গ্রাম চরফ্যাশনে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।