চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আবির হোসাইন (১১) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ উপজেলার কয়রাডাঙ্গা নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পেছনের একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত আবির ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। সে কয়রাডাঙ্গা নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ছয় মাস আগে মাদ্রাসাশিক্ষক তামিম হোসাইনের সহযোগিতায় মাদ্রাসায় ভর্তি হয় সে। আবির খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে আবাসিক ছাত্ররা মাদ্রাসা ছাড়তে শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থল আমবাগানে আকাশি রঙের পায়জামা ও কালো রঙের হাফহাতা গেঞ্জি পরা ছাত্রটির লাশ পড়ে আছে। পুলিশসহ অসংখ্য মানুষ লাশটি ঘিরে রেখেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাজারো মানুষ দাবি তোলেন, খুনিরা আটক না হওয়া পর্যন্ত লাশ নিয়ে যেতে দেবে না। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে উপস্থিত লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সকাল সাড়ে ১০টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন মাথাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মাদ্রাসার মোহতামিম আবু হানিফ বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের সময় থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাদ্রাসা কমিটি ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আজ ভোররাত চারটা পর্যন্ত খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে আবারও খোঁজ শুরু হলে মাদ্রাসার পেছনের মো. রেজাউল ইসলামের আমবাগান থেকে মাথাবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে জানান, বাইরে থেকে খুন করে লাশটি আমবাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্রের খুনের ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। খুনের পেছনের কারণ ও ধরনের বিষয়ে আপাতত তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না।