'ছেলেধরা' সন্দেহে গ্রামবাসীর হাতে আটক তরুণ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গ্রামবাসীর হাতে আটক এক তরুণকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রাম থেকে রবিউল ইসলাম (২২) নামের ওই তরুণকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ওই তরুণ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে নাম–পরিচয় দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি নওগাঁর নবাবগঞ্জ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তবে কীভাবে এবং কী কারণে তিনি পাইকপাড়ায় এসেছিলেন, তা জানাতে পারেননি। এ খবর লেখা পর্যন্ত রবিউল আলমডাঙ্গা থানার পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত নয়টার দিকে পাইকপাড়া গ্রামে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছিলেন রবিউল। গ্রামবাসী ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাঁকে আটক করেন। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামির হোসেন ও ওয়াচার কনস্টেবল হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিউলকে উদ্ধার করে পাইকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। খবরটি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে পাইকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন পুলিশ ক্যাম্পে ভিড় জমায়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী, পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুব হোসেন এবং উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে যান।

ওসি গ্রামবাসীকে রবিউলের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ রবিউলকে নিয়ে থানায় ফেরে।