জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো গুলশানের হোলি আর্টিজান ভবন পরিদর্শনে যান (ছবিতে নেই)। গুলশান ২, ঢাকা, ৭ আগস্ট। ছবি: আবদুস সালাম
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো গুলশানের হোলি আর্টিজান ভবন পরিদর্শনে যান (ছবিতে নেই)। গুলশান ২, ঢাকা, ৭ আগস্ট। ছবি: আবদুস সালাম

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো আজ মঙ্গলবার দুপুরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় বিষয়াবলী) মাহবুব উজ জামান  ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তারো কোনো তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানো এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তারো কোনো। বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিং করা হবে।

বাংলাদেশে আসার আগের দিন গতকাল সোমবার তারো কোনো নেপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অবাধ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার বাস্তবায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর স্বাগতিক দেশের জন্য এবং ২০২৩-২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদে প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থনের বিষয়গুলো তোলা হবে। দ্বিপক্ষীয় এসব বিষয়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও জাপান তুলতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশকে বলে আসছে জাপান।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো গুলশানের হোলি আর্টিজান ভবন পরিদর্শনে যান (ছবিতে নেই)। গুলশান ২, ঢাকা, ৭ আগস্ট। ছবি: আবদুস সালাম
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো গুলশানের হোলি আর্টিজান ভবন পরিদর্শনে যান (ছবিতে নেই)। গুলশান ২, ঢাকা, ৭ আগস্ট। ছবি: আবদুস সালাম

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও আলোচনায় আনবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, এ সমস্যার দ্বিপক্ষীয় সমাধান চায় বলেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি সই করেছে। দীর্ঘদিনের সমস্যাটির সমাধান যাতে টেকসই হয়, এ জন্য বাংলাদেশ সব সময় বলে আসছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ কেমন তা দেখতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর এ সপ্তাহে রাখাইন সফরের প্রসঙ্গটিও আলোচনায় আসবে।

জাপানের দৈনিক দ্য মাইনিছি বলেছে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল নেপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন।

বৈঠক শেষে তারো কোনো সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য গঠিত নতুন কমিশনকে অবাধে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে দিতে বলেছি।’