বাক্স খোলার পর বেরিয়ে এল মদ-বিয়ার

পটুয়াখালীতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতির নামে আনা বাক্স খুলে মদ, বিয়ার ও চীনা খাবার উদ্ধার করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ঘোষণার বাইরে আনা পণ্য গণনা শুরু করেন কর্মকর্তারা। তবে রাত আটটা পর্যন্ত গণনা শেষ হয়নি। 

গত ২৩ জুলাই বন্দরের ৩ নম্বর জেটিতে পানামা পতাকাবাহী এমভি কিউ জি শান জাহাজ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির নামে আনা চালানটি খালাসের সময় একটি বাক্সের একাংশ ভেঙে মদ-বিয়ার বেরিয়ে পড়ে। এরপরই তিনটি লাইটার জাহাজ আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্দর জেটিতে জাহাজ থেকে এই চালান খালাস করা হয়। গতকাল সকাল থেকে চালানের সব বাক্স খুলে গণনা শুরু হয়। 

রাত আটটায় বন্দর চত্বর থেকে মুঠোফোনে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ক্যান বিয়ার গণনা করা হয়েছে। বিদেশি মদ ও চীনা খাবার কী পরিমাণ আছে তা গণনা করা হচ্ছে। পুরো চালান যাচাই–বাছাই করার পরই ঘোষণার বাইরে কী পণ্য আনা হয়েছে তা জানা যাবে।  

কস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির নামে এই চালান আমদানি করে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ এই কোম্পানির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের কাছে। এই পণ্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স বিপাশা এন্টারপ্রাইজ এবং মদ–বিয়ারবোঝাই তিনটি ছোট জাহাজের মালিক শফিকুল আলম জুয়েল। 

আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী, চালানটিতে ৬৬৯ বাক্স রয়েছে। এর ওজন ১ হাজার ৪০৬ মেট্টিকটন। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের একটি শেডে রাখা এই চালানের বাক্স খুলে নথি অনুযায়ী পণ্য চালান আমদানি হয়েছে কি না, তা যাচাই করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এই চালানটি যাচাই–বাছাই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন কাস্টমসের ১৬ জন কর্মকর্তা। বাক্স খোলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২৫ জন শ্রমিক ও কর্মী।

গতকাল বেশির ভাগ বাক্সে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি। মদ–বিয়ারের পাশাপাশি নুডুলস, মাশরুমসহ চীনা খাবারের পাওয়া গেছে কয়েকটি বাক্সে। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, পুরো চালানে থাকা ৬৬৯ বাক্স খুলে যাচাই–বাছাই করতে আরও সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আজ সোমবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।