কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ নার্সের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

নিহত নার্স বিলকিস আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নার্স বিলকিস আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক নার্সের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো–সংলগ্ন এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নার্সের নাম বিলকিস আক্তার (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের স্ত্রী। বিলকিস কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশের ধারণা, বিলকিসকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো–সংলগ্ন এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে মর্গে এসে বিলকিসের স্বামী তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

বিলকিসের স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন বিলকিস। হঠাৎ মোবাইলে একটি কল আসার পর বিকেল পাঁচটার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান বিলকিস। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আজ সকালে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর লাশ মর্গে রয়েছে।

বিলকিস যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন, সেটির পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিলকিস হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতালে কারও সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে ফেলা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।