আবরার হত্যার প্রতিবাদে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের মিছিল
আবরার ফাহাদের (২১) হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে মিছিল বের করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার চাই’ ব্যানারে এই মিছিল বের করেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মিছিল–পূর্ববর্তী জমায়েতে বেশ কিছু দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলেন, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার চাই, বুয়েটে ছাত্রসংগঠনের তৎপরতা নিষিদ্ধ চাই, অভিভাবক হয়েও উপাচার্য কেন গতকাল ক্যাম্পাসে আসেননি তাঁর জবাব চাই, শের–ই–বাংলা হলের প্রভোস্টের প্রত্যাহার চাই, গতকাল রাতে প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়া হলে পুলিশ ঢুকেছিল—সেটা কেন হয়েছে, তার জবাব চাই, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা গতকাল একবার এসে আর আসেননি, তার জবাব চাই।
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। তবে পকেট গেট দিয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা ভেতরে ঢোকেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দরজা খুলে দেওয়া হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ বুয়েটের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ। তবে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে সকাল থেকেই বুয়েটে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল সোমবার আবরার হত্যার প্রতিবাদে দিনভরই উত্তপ্ত ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। গতকাল দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শের–ই–বাংলা হলের প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা হলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা রোববার রাতের ফুটেজ দেখানোর এবং দোষী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের দাবি জানান।
হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।