পোকায় ভরা চকলেট

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালখান বাজার এলাকার ছালমা ফ্রুট নামের একটি দোকান থেকে চকলেট কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। ঘরে গিয়ে চকলেটগুলো শিশুকে দেওয়ার আগে খুলে দেখেন পোকায় ভরা। এরপর তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় অভিযোগকারীকে।

অভিযানে এই প্রতিষ্ঠানসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় অননুমোদিত রং, কৃত্রিম রং মিশ্রিত মৌরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ধ্বংস করা হয়। 

অধিদপ্তরের, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁরা জরিমানার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। 

যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পতেঙ্গা থানার কাটগড় বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসিকে মূল্য ঘষামাজা করে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করায় ১০ হাজার জরিমানা করা হয়। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য একই এলাকার ভাই ভাই হোটেলকে ১০ হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় জোহরা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে কর্নেলহাটের জামাল অ্যান্ড সন্সকে অননুমোদিত কৃত্রিম রং বিক্রিসহ নানা অভিযোগে ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় রফিক সওদাগরকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ ছাড়া পাহাড়তলী থানার বিটাক এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়। এ সময় জিম রেস্তোরাঁকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ পানীয় সংরক্ষণের জন্য লালখান বাজারের নূর উদ্দিন ফ্রুটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোতয়ালি থানা মোড়ে বাসি মিষ্টি বিক্রি করায় মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপণিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।