গাইবান্ধায় বগি রেখেই রওনা দিল ট্রেন...

গাইবান্ধায় মাঝপথে ১২টি বগি রেখে আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকালে ট্রেনটির নতুন একটি বগির হুক (দুটি বগির সংযোগস্থল) ভেঙে যাওয়ায় গাইবান্ধা ও কূপতলা রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য ইঞ্জিন ফিরে গিয়ে বগিগুলো গাইবান্ধা স্টেশনে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গাইবান্ধা স্টেশনে পৌঁছার নির্ধারিত সময় বেলা ১১টা ১৮। লালমনি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সঙ্গে পুরাতন ৪টি বগি এবং এরপর নতুন ১২টি বগি সংযুক্ত ছিল। ট্রেনটি গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে কূপতলা স্টেশন অতিক্রম করে গাইবান্ধা স্টেশনে যাওয়ার পথে হঠাৎ পুরোনো ৪টি বগির সঙ্গে নতুন ১২টি বগির সংযোগস্থলের হুক ভেঙে যায়। এ সময় ট্রেনচালক বিষয়টি টের পেলেও তাঁকে পুরোনো ৪টি বগি নিয়েই ট্রেন চালিয়ে যেতে হয়। ট্রেনটি গাইবান্ধা স্টেশনে পৌঁছায়।

এ সময় বগিগুলো নিজে থেকে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে ভেড়ামারা রেল ব্রিজের কাছে থেমে গেলে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। নতুন বগিগুলোয় থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করেন। পরে গাইবান্ধা স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ট্রেনচালককে সঙ্গে নিয়ে লালমনি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে নতুন বগিগুলো গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে আসেন। হুক ভেঙে যাওয়া বগিটি গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে রেখেই অন্য বগিগুলো নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার ধীরেন্দ্র নাথ দাস বলেন, বামনডাঙ্গা থেকে ছাড়ার পর ট্রেনটি বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে কামারপাড়া স্টেশন ছেড়ে কূপতলা স্টেশন অতিক্রম করে গাইবান্ধার দিকে যায়। আর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুধু ইঞ্জিনসহ চারটি বগি গাইবান্ধা স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছার পর চালককে জিজ্ঞাসা করা হয় অন্য বগিগুলো কোথায়। তখন চালক জানান, হুক ভেঙে যাওয়ায় সেগুলো পেছনে রেখে আসতে হয়েছে। পরে লোকজন নিয়ে গিয়ে অন্য বগিগুলোও নিয়ে আসা হয়। এতে ট্রেনটির ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরি হয়। পরে দুপুরে ১টা ৪০ মিনিটে গাইবান্ধা রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।