বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত নেতৃত্বে আস্থা, শৃঙ্খলা

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে।  ছবি: ফোকাস বাংলা
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে। ছবি: ফোকাস বাংলা

নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে সমুন্নত রাখার জন্য ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) স্নাতকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত অভিজ্ঞতা ও শৃঙ্খলা যেকোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে গতকাল শনিবার এনডিসি পুনর্মিলনী ২০২০ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কাজে ও জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তেও বেসামরিক প্রশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি, দেশের বাইরে বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তারা বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।’

সশস্ত্র বাহিনীর সব ইউনিটকে ২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনে বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

জাতির জনক একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী ডিভিশন গঠনের স্বপ্ন লালন করতেন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সেই আলোকে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স (এনডিসি) কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এ কলেজ দেশ-বিদেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। 

এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কেক কাটেন এবং সেখানে দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম এবং তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।