নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে তালপাতার ঝুপড়িতে রাখার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে পুকুর পাড়ে তালপাতার ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে পুকুর পাড়ে তালপাতার ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে (২১) পুকুর পাড়ে তালপাতার ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান কোটালীপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোহসিন উদ্দিন। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠন করেন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাহফজুর রহমান। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক মো. জাকারিয়া ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী।


স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা প্রশান্ত বাড়ৈয়ের নির্দেশে ওই নারীকে নির্জন স্থানে তালপাতার ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়ে বলে অভিযোগ আছে। ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওই নারীকে এভাবে এখানে থাকতে হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নিন্দার ঝড় ওঠে।খবর পেয়ে কোটালীপাড়ার ইউএনও এস এম মাহফুজুর রহমান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুশান্ত বৈদ্য সেখানে যান। ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে তাঁর বাড়ির একটি আলাদা ঘরে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করে আসেন তাঁরা।


তবে এখন ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে যে তিনি স্বেচ্ছায় তালপাতার ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

এ বিষয়ে ইউএনও এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মী আগে এক কথা বলেছেন। এখন অন্য কথা বলছেন। তদন্তকারী দল সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ওই স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দেন। ছুটিতে তিনি বাড়িতে যান। পরে তাঁকে বাড়ি থেকে দূরে এক ঝুপড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হয়।