নমুনা দিয়ে এলাকা ছাড়া, করোনা পজিটিভ জেনে খুঁজছে প্রশাসন

জয়পুরহাটে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে এলাকা ছেড়ে গেছেন দুই ব্যক্তি। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এই দুজনকে খুঁজতে থাকে প্রশাসন। এদের একজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে গাজীপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজন এখন চট্টগ্রামে আছেন।

এই দুজনের একজন পোশাক কারখানার শ্রমিক, অন্যজন ট্রাকচালক। পোশাক কারখানার শ্রমিক গাজীপুরে ভর্তি হয়েছেন। পোশাক কারখানার শ্রমিকের বাড়ি কালাইয়ে এবং ট্রাকচালকের বাড়ি ক্ষেতলালে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জয়পুরহাট জেলায় গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২৮ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলারই ২২ জন। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার এক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর জানার আগেই ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রাম চলে গেছেন। মঙ্গলবার শনাক্ত হওয়ার আগে কালাই উপজেলার পোশাক কারখানার শ্রমিক গাজীপুর চলে গেছেন। এই দুজন ছাড়া শনাক্ত হওয়া সবাইকে গোপীনাথপুর আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাকচালকের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রেখে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় পোশাক কারখানার শ্রমিককে গাজীপুর হাসপাতালে ভর্তি করার কথা জানানো হয়েছে।

ক্ষেতলালের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের আক্রান্ত ব্যক্তি ট্রাকচালক। তিনি সারা দেশে ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করেন। এ কারণে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি সোমবার বিকেলে ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রামে চলে গেছেন। ওই রাতেই তাঁর করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে। রাতেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ট্রাকচালককে আইসোলেশনে নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাননি। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, 'ট্রাকচালকের সঙ্গে মুঠোফোনে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দ্রুত চট্টগ্রাম থেকে এলাকায় চলে এসে আইসোলেশনে থাকবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।'

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিক আহাম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, কালাইয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া এক তরুণ গাজীপুরে পোশাক করখানায় চাকরি করেন। তিনি শনাক্ত হওয়ার আগেই গাজীপুরে চলে গেছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে গাজীপুর হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষেতলালে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ট্রাকচালককে তাঁর বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি চট্টগ্রামে ট্রাক নিয়ে গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তাঁকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালকের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রেখে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।