করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু কমছে: সিজিএস

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আগের চেয়ে কমলেও দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু থামছে না। গত ৮ মার্চ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ১০১০ জনের করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে।সর্বশেষ এক সপ্তাহে এমন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিপিও। সম্প্রতি করোনা বিষয়টি তাদের প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।

বিপিও বলছে, গত ৮ মার্চ থেকে করোনা বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।এতে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২১ মার্চের করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়।পরের সপ্তাহে এটি দাঁড়ায় ৬ জনে।পরের সপ্তাহগুলোতে ১৯৩, ১৭৬ হয়ে ২২৩ এ পৌঁছায়। তারপর আগের সপ্তাহের চেয়ে কমতে থাকে। গত তিন সপ্তাহে ধরে এটি কমছে। আগের দুই সপ্তাহে ছিল ১৪০ ও ৮৯।

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনা রোগীর মতো উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তারা করোনা আক্রান্ত নাও হতে পারেন।একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষ করে ৮৫ শতাংশের করোন পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, দৈনিক সংবাদ পত্র জাতীয় ও আঞ্চলিক, টেলিভিশন, অনলাইন মিলে ২৫টি গণমাধ্যম থেকে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছেন তারা। এরপর এসব তথ্য থেকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্যটা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এসব তথ্য যাচাই করা হয় না। এমনকি মারা যাওয়ার পরে করোনা পরীক্ষার ফলাফলও এতে যুক্ত হয় না।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আরও কয়েকটি বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে বিপিও। তাদের প্রতিবেদন বলছে, করোনা নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত ১৬ মে পর্যন্ত ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।এ ছাড়া ত্রাণ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল ও করোনা বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৩৩ জনকে।

বিপিও প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে ১৩৯টি নির্যাতন ও সামাজিক কলঙ্ক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শেষ সপ্তাহে এটি ৪২ শতাংশ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ৮৯টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ ত্রাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তার দাবিতে, বেতন পরিশোধের দাবিতে ৩৮ শতাংশ এবং ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ।